ছবি: সংগৃহীত
তিব্বতি শিশুদের জোরপূর্বক শিক্ষা প্রদানের সাথে জড়িত চীনা কর্মকর্তাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, চীনারা জোরপূর্বক প্রায় দশ লাখ তিব্বতি শিশুকে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, তিব্বতের তরুন প্রজন্মকে নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য থেকে দূরে রাখতে চাইছে চীন, যা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ কাজের ফলস্বরূপ চীনা কর্মকর্তাদের ভিসা সীমাবদ্ধ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পিআরসি কর্তৃপক্ষের কাছে তিব্বতের শিশুদের উপর এ জবরদস্তিমূলক আচরণ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
২০২১ সাল থেকেই জিনজিয়াং প্রদেশে গণহত্যা চালানোর জন্য চীনকে দায়ী করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
তিব্বতে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ওয়াশিংটন জানায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ডিসেম্বরেই দুই শীর্ষস্থানীয় চীনা কর্মকর্তা উ ইংজি এবং ঝাং হংবোর উপর আলাদাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু জানান, চীনের বোর্ডিং স্কুলগুলো স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ীই স্থাপিত হয়।
অপরদিকে ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে, গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞের দেওয়া পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে বলেন যে, প্রায় দশ লাখ তিব্বতি শিশুকে জোরপূর্বক চীনা বোর্ডিং স্কুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মান্ডারিন ভাষায় বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের চীনের সংখ্যাগরিষ্ঠ হান সংস্কৃতির সাথে একীভূত করার চেষ্টায় রয়েছে চীন।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানান, তিব্বতিদের সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চীন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে, যার দ্বারা তারা তিব্বত ছেড়ে চীনে চলে আসতে বাধ্য হবে।
দালাই লামার ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলো ব্লিঙ্কেনের এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
আর.এইচ/ এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন